(কুল্লু নামসীন যায়েকাতুল মাওউত)
প্রত্যেক মানষেরই মৃত্যুর স্বাধ গ্রাহন করতে হবে
(ইন্না আউলিয়া আল্লাহে লা-ইয়ামুতু)
পীর ফজলুল্লাহ (বুড়া হযরত) রহ: এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি পীরে কামেল, কুতুবে জামান হাদীয়ে বাঙ্গাল শামছুল আরেফিন, মুবাল্লীগে জামান মরহুম
পীর ফজলুল্লাহ্ (বুড়া হযরত) রহ:
প্রায়১৯২৯/১৯৩০ইং সালে বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার বামনী এলাকায় জন্মগ্রহন করেন। তাঁর দাদার পিতা (বড় বাবা) হযরত মাওলানা আজিমউদ্দিন বাগদাদী (রহ:)মুগুল আমলে বাগদাদ থেকে প্রথম ভারতবর্ষে ইসলাম প্রচারের উদ্দেশ্যে আগমন করেন। পরবতীতে তাঁর পুত্র সুফী নুর মোহাম্মদ নোয়াখালী বামনী এলাকায় স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেন। পারবর্তীতে ১৭৭৫/৭৬ ইং সনে মরহুম বুড়া হযরত (রহ:) ইসলাম প্রচার ও সামাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে বামনী হতে বর্তমান রায়পুর উপজেলার কেরোয়া গ্রামে স্থায়ী নিবাস গড়ে তুলেন। তাঁর পিতা মরহুম হযরত মাওলানা সুফী নুর মোহাম্মদ (রহ:) তৎকালে পূর্ব বাংলার শাসক কর্তৃক জমিদারী প্রাপ্তহয়ে ভূঁইয়া নামে খ্যাত হন। মরহুম বুড়া হযরত এর পিতা সুফী নুর মোহাম্মদ(রহ:) এর নিকট কোরাআন, হাদীস, ফিকহ্,আরবী, ফারসী সহ সকল দ্বীনি শিক্ষা লাভ করেন। পরবতীতে স্বীয় পীর মোরশেদ মাওলানা ইমামুদ্দিন (রহ:) এর নিকট শরীয়তের শিক্ষা ও খেলাফত লাভ করেন। তিনি ইসলাম প্রচার ও সমাজ সংস্কারের উদ্দেশ্যে রায়পুর বড় মসজিদ, রায়পুর আলীয়া মাদ্রাসা, হাজীগঞ্জ জামে মসজিদ সহ নোয়াখালী,ফেনী,কুমিল্লা,চাঁদপুর,হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর,রামগতি এলাকায় ছোট-বড় তিন শতাধিক মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সুদীর্ঘ ১১৩ বছর ইসলাম প্রচার ও দ্বীনের খেদমত করে এই মহান সেবক অলী যুগের শ্রেষ্ঠ অলী ১৮৮৯ ইং সনে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইতে রাজেউন)।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস